মতি চাচ্চুদের আবার কি দোষ,সীমা তো এমনই চায়......বিনা পয়সায় ধান্ধা
লিখেছেন লিখেছেন মিষ্টার আলিফ ১৫ এপ্রিল, ২০১৩, ০৫:০৩:১০ বিকাল
পড়ন্ত বিকালে সীমা একা তাদের করিডরে বসে আছে।ঢাকা থেকে গতকালই এসেছে। আসার পর খেকে সীমার মন বিষর্ণ।তার বাবা বিষয়টি লক্ষ না করলেও সীমা তার মায়ের চোখকে ফাকি দিতে পারেনি।সীমার মা বারংবার জিজ্ঞাসা করছে কি হয়েছে। কিন্তু সীমা মুখ খুলছে না। শুধু মাকে বলছে আমার কিছু ভাল লাগছেনা।তুমি আমাকে কিছু জিজ্ঞাসা করোনা।কিন্তু সীমার মা নাছোড়বান্দা তিনি সীমাকে আবারো জিজ্ঞাসা করলেন।সীমা এবার আর মায়ের কথা ফেলতে পারলো না।তার মাকে একে একে তার অভিসপ্ত জীবনের সকল ঘটনা খুলে বললো।ঢাকা গিয়ে মতি চাচাকে খুশি রাখার জন্য তাকে কত কি করতে হয়েছে।সে এও বললো বর্তমানে তার পেটে একটি বাচ্চা আছে। সে দিশা না পেয়ে গ্রামের বাড়ীতে চলে এসেছে। সে আরো বললো ইচ্ছে করলে সে ঢাকাতে বাচ্চা নষ্ট করতে পারতো কিন্তু তার অভিসপ্ত জীবনের অনেক অজানা কাহিনী তার সঙ্গী-সাথীরা জেনে যাওয়ার কারনে তাকে ওথান থেকে চলে আসতে হয়েছে। এছাড়া এখনো রাতে-দিনে অনেকের খাদ্য না হলে তাকে থাকা-খাওয়া অনেক কষ্ঠ করতে হয়।সীমার মাতো আদুরী মেয়ের কথা শুনে থ খেয়ে খেল। ওমা একি বলছিছ তুই,আমাদের জীবনটা নষ্ট করেদিলি। নিজের জীবন তো খেলি এখন আমাদের জীবনও বিষর্ণ করি দিলি।এখন আমরা কি করে সমাজের মানুষের কাছে মুথ দেখাবো বল। বলে সীমার মা আব্বিয়া খাতুন মেয়েকে ধরে আত্ন চিৎকার দিল।
কিন্তু সীমার চোখে পানি নেই ।সে তার মাকে জড়িড়ে ধরে আছে। অনেক ক্ষণপর সীমা তার মাকে জিজ্ঞাসা করছে, মা তুমি কথা বলছো না কেন,সীমার মা আব্বিয়া খাতুন কোন কথা বলছে না দেখে সীমা আব্বিয়া খাতুনের মাথা ধরতে তার নিথর দেহ মাটিতে লুটে পড়লো।আব্বিয়া থাতুন মেয়ের মুথ থেকে তার নিষ্পাপ জীবনের ঘটনা শুনে হ্রদযন্ত্রে ক্রিয়া বন্ধ হযে মারা গেল। সীমার দরিদ্র বৃদ্ধ পিতাও এতক্ষণ মেয়ের ঘটনা আড়াল থেকে শুনতে পেলেন। এখন নিজ স্ত্রীর মৃত্যুতে তিনিও ভেঙ্গে পড়লেন। তার অনেক আশা ছিল মেয়েকে ঢাকাতে কষ্ঠ করে লেখা পড়া করাচ্ছেন।তার অভাব একদিন মুছে যাবে। তিনি স্বপ্ন দেখতেন তার কুড়ে ঘর গেঙ্গে পাকা ঘর দিয়েছেন।অতচ এখন তিনি মেয়ের অভিসপ্ত জীবনকে সারা জীবন বড়ে বেড়াতে হবে।
বিঃদ্রঃ কাহিনী সম্পূর্ন কাল্পনিক।
বিষয়: বিবিধ
১২৯৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন